ঝাঁসির যোদ্ধা রাণীর সত্যতা, বিশদ বিবরণ এবং সৌন্দর্যের সাথে একা চলুন, আমরা প্রায়শই নারীদের ঐতিহাসিক গল্পগুলিকে বড় পর্দায় জীবন্ত অবস্থায় দেখতে পাই না। এটি প্রায়ই কম হয় যে আমরা বিশ্বজুড়ে নারীদের সম্পর্কে এবং শতাব্দী ধরে বিস্তৃত বিভিন্ন সংস্কৃতির এই গল্পগুলি দেখতে পাই। মা-মেয়ের যুগল ইতিহাসকে জীবন্ত করে তোলার চেয়েও বিরল। কিন্তু আমরা ঝাঁসির যোদ্ধা রানী-এর সাথে স্বাতী ভীষে এবং দেবিকা ভীষের কাছ থেকে সেগুলি এবং আরও অনেক কিছু পেয়েছি।

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে 1857 সালের যুদ্ধের সত্য কাহিনীর উপর ভিত্তি করে, ঝাঁসির ওয়ারিয়র রাণী পর্দার পিছনে এবং ইতিহাসে যতটা নারী-চালিত শক্তিশালা। রানী লক্ষ্মীবাইয়ের নেতৃত্বে, ভারতের ঝাঁসি প্রদেশের জন্য তার সাহস এবং লড়াই স্বাধীনতার জন্য দুই বছরের যুদ্ধের জন্ম দেয়। একইভাবে, স্বাতী এবং দেবিকা ছবিটি নির্মাণের জন্য প্রস্তুত করতে প্রায় দুই বছর ব্যয় করেছেন। সহ-লেখক এবং সহ-প্রযোজক, স্বাতী তার পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করেন (এবং কস্টিউম ডিজাইন করেন) এবং কন্যা দেবিকাকে পরিচালনা করেন যিনি রানী লক্ষ্মীবাই চরিত্রে অভিনয় করেন। ভারতীয় এবং ব্রিটিশ সংস্কৃতির ইতিহাসের একজন সত্যিকারের একাডেমিক এবং চ্যাম্পিয়ন, যদিও কিছু সাহিত্য লাইসেন্স রয়েছে, চলচ্চিত্রটির ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক নির্ভুলতার প্রতি স্বাতীর মনোযোগ স্ক্রিপ্ট থেকে কাস্টিং থেকে ভিজ্যুয়াল পর্যন্ত অতুলনীয়।

ওয়ারিয়র রানীকে যে বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য করে তোলে তা হল রানি লক্ষ্মীবাই ভারতের ইতিহাসে এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, তবুও কেউ তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করেনি। 29 বছর বয়সে মারা যাওয়ার পরে, তিনি বিশ্বে এবং ভারতের মানুষের কাছে যে চিহ্ন রেখে গেছেন তা আজও এমন একটি উত্তরাধিকার নিয়ে বেঁচে আছে যা শক্তিশালী সাহসী তরুণীদের রানীর সাথে তুলনা করা হয়।

রানী লক্ষ্মীবাঈ চরিত্রে দেবিকা ভীষের অভিনয়ের উপর চলচ্চিত্রটি উঠে আসে। একজন 'আশ্চর্য মহিলা' তার নিজের সমস্ত স্টান্ট করছেন, যার মধ্যে ব্যাপক রাইডিং এবং তরবারি লড়াই সহ 'ম্যান অন ম্যান' মার্শাল আর্ট যুদ্ধের সাথে যুদ্ধ করা (তিনি প্রতিটি শৃঙ্খলায় প্রায় দুই বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন), এটি হল দৃঢ়তা এবং ফোকাস দেবিকা এমন ভূমিকায় নিয়ে আসে যা মোহিত করে। এটি কেবল রাজকীয় এবং আদেশমূলক নয়, তবে সে কখনই তার নারীত্ব বা তার মাতৃত্বের স্পর্শ হারাবে না। রাণীর মূর্ত রূপ ধারণ করে, দেবিকার এমন দৃশ্যও রয়েছে যেখানে তিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য ভরতনাট্যম পরিবেশন করেন, যার জন্য তিনি ছোট থেকেই তার মা স্বাতী, লিঙ্কন সেন্টারে বসবাসকারী একজন শিল্পী থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। (স্বাতী চলচ্চিত্রে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক নৃত্যের কোরিওগ্রাফিতেও কাজ করেছেন।) এটি শারীরিক, মানসিক এবং একজন যোদ্ধা রাণীর সারমর্মকে জীবন্ত করে তোলার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পারফরম্যান্স। দেবিকার অভিনয়ের জন্য রানির মানসিক শক্তি সামনের দিকে উঠে যায়। উপরন্তু, স্ট্যান্ডআউট হল যে দেবিকা ছবিতে কথিত তিনটি ভাষায়ই সাবলীল তাই কোন ডাবিং নেই।

স্যার হিউ রোজের চরিত্রে রুপার্ট এভারেট থেকে শুরু করে সামগ্রিকভাবে কাস্টিং চিত্তাকর্ষক। এভারেট পরিপক্ক হওয়ার সাথে সাথে তিনি কিছু বিস্ময়কর ঐতিহাসিক ভূমিকা মোকাবেলা করছেন, পারফরম্যান্সে দুর্দান্ত গভীরতা এবং মাধ্যাকর্ষণ এনেছেন। তিনি এখানে মিলিটারি পয়েন্ট হিসাবে এটিই করেন এখন যেহেতু তিনি পরিপক্ক হয়ে উঠেছেন তিনি কিছু দুর্দান্ত ঐতিহাসিক ভূমিকা গ্রহণ করেন এবং সেগুলির মধ্যে বিস্ময়কর গভীরতা নিয়ে আসেন। তিনি এখানে রোজ হিসাবে এটি করেন, যিনি 1957-1958 সালে রানীর বিরুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর নেতৃত্ব দেন। স্ট্রাইকিং হল সেই সূক্ষ্ম ভারসাম্য যা এভারেট রোজকে নিয়ে এসেছেন রোজের রানি সম্পর্কে তার উপলব্ধি সম্পর্কে তার নথিভুক্ত অস্পষ্টতাকে মোকাবেলা করে, একদিকে তার বুদ্ধিমত্তা এবং সাহসিকতার প্রশংসা ও সম্মান করে একজন নেতা হিসাবে, আসলে তাকে 'বিদ্রোহীদের মধ্যে একজন মানুষ' হিসাবে বর্ণনা করে, এবং ক্রাউনের জন্য একজন অফিসার এবং সামরিক নেতা হিসাবে তার কর্তব্যগুলি জেনে একজন অন্যজন। এভারেট দেখতে আকর্ষণীয়।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে রোজের 'ডান হাত' পরামর্শদাতা হলেন স্যার রবার্ট হ্যামিল্টন। যেখানে এভারেট রোজকে শান্ত এবং চিন্তাশীলতা এনে দেয়, সেখানে নাথানিয়েল পার্কার হ্যামিল্টনের মতো মন্দ ও ঘৃণার উদ্রেক করেন। পার্কারের হ্যামিল্টনকে বেন ল্যাম্বের মেজর রবার্ট এলিসের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সময় এটি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রদর্শিত হয় যিনি রানী এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে স্থায়ী শান্তি বজায় রাখতে এবং ব্রোকার করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। ল্যাম্বস এলিস শুধুমাত্র সুদর্শনই নয়, যা ল্যাম্ব এবং দেবিকা ভীষে যখন একটি সম্ভাব্য রোম্যান্সের ইঙ্গিত দিয়ে পর্দায় থাকে তখন ফিল্মটি পরিবেশন করে, তবে একটি নীরবতা এবং প্রশান্তি নিয়ে আসে যা রানির জগতে সুন্দরভাবে ফিট করে যখন রোজ এবং এর ব্যক্তিত্বের মধ্যে কোথাও পড়ে যায়। হ্যামিলটন। ভারতীয়দের এবং রাণীর প্রতি সহানুভূতি এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ক্রাউনের প্রতি দায়িত্বের জন্য এলিসের মধ্যেও আমরা অস্পষ্টতা দেখতে পাই। মেষশাবক একটি বিশ্বাসযোগ্য সংবেদনশীল আঁটসাঁট পথ হাঁটছে।

মুকুটটি সংক্ষিপ্ত করার জন্য নয়, ইংল্যান্ডে অসংখ্য দৃশ্য রয়েছে কারণ রানী ভিক্টোরিয়াকে ঝাঁসিতে ঘটতে পারে এমন একটি সম্ভাব্য 'সামান্য' বিদ্রোহের আপডেট দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পর্দায় রাণীর অনেক অমার্জনীয় ব্যাখ্যা সহ, তাকে এখানে জীবিত করা যোধী মে-এর হাতে পড়ে। মে তা পর্যাপ্তভাবে বেশি করে। মে-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন ডেরেক জ্যাকবি রানীর প্রধানমন্ত্রী লর্ড পালমারসন। জ্যাকবি পালমারসনকে ঝাঁসির জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং রক্তপাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য কিছুটা অতি-উৎসাহী প্রান্ত দেন। এটি ঝাঁসিতে হ্যামিল্টনের চরিত্রে নাথানিয়েল পার্কারের একটি নিখুঁত পরিপূরক। অন্য উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় হলেন ভিক্টোরিয়ার আস্থাভাজন, সেলিম খান, যার পরিবার ঝাঁসিতে থাকে। সেলিম হিসাবে, ওমর মালিক স্ট্রাইক করছেন এবং সাধারণভাবে ক্রাউনে একটি মানবিক প্রান্ত যোগ করেছেন। মজার ব্যাপার হল সেলিম খানের চরিত্রটি মোহাম্মদ আবদুল করিমের উপর ভিত্তি করে তৈরি বলে মনে হয় যিনি কয়েক দশক পরে রানী ভিক্টোরিয়ার সেবা করেছিলেন।

পর্দার আড়ালে, ঝাঁসির যোদ্ধা রানী

স্বাতী ভিসে এবং তার সহ-লেখক অলিভিয়া এমডেন এবং দেবিকা ভিসেকে শুধুমাত্র চরিত্রগুলির সাথে নয় বরং ঝাঁসি এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে মানসিক ভারসাম্য এবং পয়েন্ট-কাউন্টারপয়েন্ট তৈরি করার জন্য ঐতিহাসিক বিশদে মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনেক কৃতিত্ব দেওয়া হয়। একটি সংলাপ-ভারী চলচ্চিত্র, উল্লেখযোগ্য হল যে সংলাপ এবং অভিনয় উভয় ক্ষেত্রেই, চলচ্চিত্রটি সেই 1850-এর কথা এবং অভিনয়ের সময়কালের সাথে সত্য। যদিও স্বাতী বেশিরভাগ ঐতিহাসিক গবেষণা করেছিলেন এবং অলিভিয়া এমডেনের সাথে এটিকে একটি চিত্রনাট্যে রূপান্তরিত করেছিলেন, তখন দেবিকাকে সংলাপটি পরিবর্তন করার জন্য আনা হয়েছিল যাতে একজন পশ্চিমা দর্শক গল্পটি বুঝতে পারে। এটি করার মাধ্যমে, তিনি সেখানে থাকা ঐতিহাসিক তথ্যগুলি নিয়েছিলেন এবং তারপরে এক্সট্রাপোলেটেড বা 'সংযোজিত' আকর্ষণীয় কিছু যা সেই সময়ে 'হতে পারে'। স্বাতী সেদিনের সুরে ব্রিটিশ ও ভারতীয় ভূমিকা লিখেছেন। এক চমৎকার কথ্য প্রবাহে সবাই একত্রিত হয়।

স্বাতী ভিসে পরিচালিত, দ্য ওয়ারিয়র কুইন অফ ঝাঁসি মহাকাব্য। যেন স্ত্রী, বিধবা, মা, যোদ্ধা, শান্তিদাতা এবং নেতা হিসাবে রানী লক্ষ্মীবাইয়ের জটিলতা উদযাপনের একটি ব্যক্তিগত গল্প যথেষ্ট নয়, স্বাতী আমাদের মরুভূমিতে, রাজ্যে নিয়ে যায়, শত শত অতিরিক্ত, ঘোড়া সহ চিত্তাকর্ষক যুদ্ধের ক্রম সহ , তলোয়ারের তলোয়ার দিয়ে লড়াইয়ের কোরিওগ্রাফি করা - যার সবই বাস্তবে ক্যামেরায় করা হয়। এটি এমন নয় যে 10টি ঘোড়া এবং রাইডার রয়েছে এবং এটিকে শতভাগে প্রতিলিপি করতে CGI ব্যবহার করুন। সবকিছুই ক্যামেরায় শুট করা হয়েছে, যা শুধুমাত্র স্বাতী এবং তার চিত্রগ্রাহক সিমাস ডিজির ব্যাপক এবং নির্ভুল প্রস্তুতির জন্য কৃতিত্ব দেওয়া যেতে পারে।

আলো এবং লেন্সিং গতিশীল এবং মরুভূমির উপর একটি অস্তগামী সূর্যের সৌন্দর্য ক্যাপচার করে বা আরও বেশি দর্শনীয়, একটি উজ্জ্বল চাঁদের নীচে রাতের সময়, বা সূর্যোদয়ের ঠিক আগে সকালে যখন শিশির এবং তাপ বাতাসে ঝুলে থাকে। রানির প্রাসাদে ঘনিষ্ঠ পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলি সমানভাবে সমৃদ্ধ। Deasy ফ্রেমটিকে শ্বাস নিতে দেয় যাতে আমরা প্রতিটি ঘরের সমস্ত বিবরণ, প্রতিটি সেটিং, যা রানী এবং তার লোকদের সংজ্ঞায়িত করে। রানী এবং মেজর এলিসের মধ্যে শান্ত বাগানের দৃশ্যে একটি হালকাতা এবং সূক্ষ্মতা রয়েছে যা যত্ন এবং স্নিগ্ধতার সাথে বিকিরণ করে। রঙ ভারতীয় সূর্যের নীচে চোখ ধাঁধানো এবং রূপকভাবে মানুষের আনন্দ এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতি বনাম স্বাধীনতার আসন্ন যুদ্ধের সাথে কথা বলে।

রিয়াজ আলি মার্চেন্টের ফিল্মের সময়ের পোশাকগুলিই অসামান্য নয়, স্বাতী ভিসে তখন শাস্ত্রীয় নৃত্যের পোশাকের পাশাপাশি রানী এবং জেনারেল তান্তিয়া টোপের পোশাকগুলি ডিজাইন করেছিলেন। প্রতিটি নাচের পোশাক পরেরটির চেয়ে আরও সুন্দর হয়েছে হাতে তৈরি পুঁতি, শিফন এবং ব্রোকেড ফ্যাব্রিকেশনের জন্য। কস্টিউমিংয়ের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে অ্যাঞ্জেলিকা মনিকা ভৌমিকের পুরষ্কার-যোগ্য প্রোডাকশন ডিজাইন। বিস্তারিত মনোযোগ বিস্ময়কর, প্রাসাদের দেয়ালে গিল্ট ট্রিম থেকে অভ্যন্তরীণ সিলিংয়ে ঝকঝকে টাইলযুক্ত মোজাইক ভ্যালেন্স থেকে অলঙ্কৃত আসবাব থেকে অন্ধকার কাঠের লাইব্রেরি পর্যন্ত।

পর্দার আড়ালে, ঝাঁসির যোদ্ধা রানী

Tuomas Kantelinen-এর স্কোর আবেগ এবং ইতিহাসে ভরা, আমাদের সময় এবং জায়গায় নিয়ে যায়। যন্ত্র এবং অর্কেস্ট্রেশন সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, ভারতীয় এবং ইংরেজি উভয় সংস্কৃতিকে ক্যাপচার করা, বিশেষত ক্লাসিক্যাল নৃত্যের অনুচ্ছেদে। বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় সুরগুলি স্বাতী এবং দেবিকা হাতে বাছাই করেছিলেন এবং প্রকৃতপক্ষে, কয়েক দশক ধরে স্বাতীর পারফরম্যান্স দলের অংশ ছিলেন এমন সংগীতশিল্পীরা অর্কেস্ট্রার সাথে শাস্ত্রীয় নৃত্যের সংখ্যা পরিবেশন করেছিলেন।

কদাচিৎ, যদি কখনও, সম্বোধন করা হয় সাবটাইটেলের শিল্প তবে এটি এই চলচ্চিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দ্য ওয়ারিয়র কুইন অফ ঝাঁসি-তে তিনটি ভাষায় কথা বলার কারণে, যদিও ছবির বেশিরভাগ অংশ ইংরেজিতে, সাবটাইটেল অপরিহার্য। সাবটাইটেলগুলির জন্য সংলাপ অনুবাদ করা 'অর্থ বনাম শব্দার্থ' এ ফুটে ওঠে৷ উপরন্তু, মূল সমস্যা হল যে ছবিতে ব্যবহৃত ভারতীয় উপভাষাগুলির সাথে, ভাষাটিতে ইংরেজির তুলনায় প্রতি সেকেন্ডে অনেক বেশি শব্দ রয়েছে যা, যদি শাব্দিকভাবে অনুবাদ করা হয় তবে ভিজ্যুয়ালগুলিকে ছাড়িয়ে যাবে। বেশিরভাগ অনুবাদ দেবিকা ভীষে করেছিলেন কারণ দেবিকা এবং স্বাতী ঐতিহাসিক সত্যতার জন্য সংলাপের আঞ্চলিক ভাষা ধরে রাখতে চাননি, তবে এর জন্য সাবটাইটেল সহ একটি আধুনিক প্রবাহের প্রয়োজন ছিল। ফলাফলটি আশ্চর্যজনকভাবে সাবটাইটেলগুলির সাথে রেন্ডার করা হয়েছে যা দর্শকদের কাছে উপলব্ধি করে (এবং সঠিকভাবে বানান করা হয়েছে)।

পশ্চিমা বিশ্বের কাছে একটি শক্তিশালী গল্প নিয়ে আসার সময় ইতিহাসের প্রতি সত্য থাকা, স্বাতি এবং দেবিকা ভীষ সত্যিই একটি সহযোগী জুটি যার সাথে গণনা করা যেতে পারে। একজন মহিলার নেতৃত্বে একটি ঐতিহাসিক ড্রামা অ্যাকশন পিস যা শোনা যায় না। এমন একটি মহাকাব্যিক স্কেলে কিছু তৈরি করা এবং যতটা সুন্দর এটি মরুভূমিতে ঝলমলে হীরা খুঁজে পাওয়ার মতো। বিশ্বব্যাপী দর্শকদের জন্য ফিল্ম তৈরি করা, ঝাঁসির ওয়ারিয়র কুইন শুধু একজন যোদ্ধা রাণীর কথা নয়। এটি প্রতিটি মহিলার সম্পর্কে। আবেগ, নাটক এবং সত্যকে সামনে নিয়ে আসা, এটি প্রতিটি মা, মেয়ে, দাদী, বোন এবং বন্ধুদের জন্য একটি চলচ্চিত্র – প্রত্যেকে তাদের জীবনের প্রতিটি দিন একজন যোদ্ধা।

পরিচালনা করেছেন স্বাতী ভীষে
লিখেছেন স্বাতী ভিসে, অলিভিয়া এমডেন, দেবিকা ভিসে

কাস্ট: দেবিকা ভিসে, রুপার্ট এভারেট, বেন ল্যাম্ব, নাথানিয়েল পার্কার, ডেরেক জ্যাকবি, যোধি মে

ডেবি ইলিয়াস দ্বারা, 11/11/2019